মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ২৬ অক্টোবর ২০২৩ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ও “শেখ রাসেল দিবসˮ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে।
দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে অন্যতম ছিল সেমিনার। দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াতের মাধ্যমে সেমিনার শুরু হয়। সেমিনারে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় ।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন যে, সরকার কর্তৃক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে শেখ রাসেল দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য “শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়ˮ যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন যে, রাসেলের নামটি বঙ্গবন্ধু নিজেই রেখেছিলেন তাঁর প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে। তিনি আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুবই ভালবাসতেন। তিনি জানতেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সোনার মানুষ গড়তে শৈশব থেকেই শিশুদের মধ্যে চারিত্রিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষা-দীক্ষা, সততা, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে শিশুদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কোনো শিশুই যাতে শেখ রাসেলের মতো নৃশংসতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশী অতিথি উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। ডিপ্লোম্যাটিক কোয়লিশনের প্রখ্যাত সাংবাদিক খুয়ান লরেনটে গনজালেছ শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকান্ডকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন। এছাড়া, অধ্যাপক কার্লোস উরিয়ার্তে সানচেজ, শেখ রাসেল এর উপর আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত সেমিনারে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশী সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ,সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন।
সেমিনার শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী ব্যক্তিবর্গ, জাতীয় চার নেতা, শেখ রাসেল এর রূহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয় ও কেক কাটা হয় এবং আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে দুপুরের খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।
Leave a Reply