মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনএর লক্ষ্যে দূতাবাস এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
০৮ আগস্ট ২০২৩ইংরেজি মাদ্রিদ বাংলাদেশ দূতাবাসে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বাণী পাঠ, বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা ও মোনাজাত।
দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে জন্মদিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর কর্ম ও জীবনের উপর আলোচনায় স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করতে গিয়ে চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স জনাব এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরনকারী সকল শহিদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন যে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী ফজিলাতুন নেছা মুজিব আমৃত্যু স্বামীর পাশে থেকে একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। বাঙালির প্রতিটি মুক্তিসংগ্রামে তিনি বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মাঝেও তিনি অসীম ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, আমৃত্যু পাশে থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তাই, এবারের প্রতিপাদ্য, “সংগ্রাম-স্বাধীনতা প্রেরণায় বঙ্গমাতা”-অত্যন্ত যথার্থ বলে প্রতীয়মান হয়। দেশ ও জাতির জন্য তাঁর অপরিসীম ত্যাগ, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতার জন্য জাতি তাঁকে “বঙ্গমাতা” উপাধিতে ভূষিত করেছে। তিনি আরো বলেন বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বাঙ্গালী নারীদের জন্য যুগে যুগে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আলোচনা সভায় স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশী সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী ব্যক্তিবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং বঙ্গমাতার রূহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়। সভা শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে দুপুরের খাবারে আপ্যায়ন করা হয় ।
Leave a Reply