জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করা সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে শনিবার (২২ জুলাই) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, রাষ্ট্রের সার্বিক কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি-কৌশল প্রণয়ন এবং তা বাস্তায়নে দক্ষ, গতিশীল ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রাসনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করা সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক সেবা সহজ, সুলভ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আরও বেশি জনবান্ধব ও আন্তরিক হতে হবে।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জনপ্রশাসনের সব কর্মবিভাগে নিযুক্ত কর্মচারীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী প্রয়াস, সেবা সহজীকরণ ও গঠনমূলক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে ও সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তিনি উদ্ভাবনী কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ এবছর জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, “দেশের ১৮ কোটি মানুষের ইচ্ছা একবার পুরণের সুযোগ দিন। দেখবেন কার জনপ্রিয়তা কতটুকু? সূতরাং একবার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখুন। সেই ভোটে যদি আপনি পুন:নির্বাচিত হয়ে আসেন, আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না।”
তিনি আরো বলেন, “আলেম-উলামাকে ডাণ্ডা বেড়ি দিয়ে যেভাবে অপদস্থ করছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে যেভাবে হয়রানি করছেন-আপনি পার পেতে পারেন না। অবিলম্বে আলিমদেরকে মুক্তি দিন।”
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনতাসির আলী বলেন, “সিলেট বিভাগের ঘরে ঘরে খেলাফতের দূর্গ গড়ে তুলুন। জনগণের ন্যায্য দাবি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে জনগণকে সংগঠিত করুন।” তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে খেলাফত মজলিসের ৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক দলসমূহের সভা সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতির বিষয়টি আমাদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করার শামিল। সুতারাং সভা সমাবেশ করার অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করুন।”
Leave a Reply